ফেস সহ বডির বিভিন্ন পার্টে অবাঞ্চিত লোম আমাদের অনেকের অস্বস্তির কারণ ।
আজ এই পোষ্টে আলোচনা করা হয়েছে অবাঞ্চিত লোম প্রতিরোধে ৫ টি কার্যকর টিপস নিয়ে । আপনার ত্বকের কমন সমস্যা গুলির সমাধানে কার্যকর সব স্কিন কেয়ার টিপস নিয়ে কাজ করছে বিউটি ক্লিনিক ।
১. নিয়মিত ওয়াক্সিং
ওয়াক্সিং একটি সাধারণ পদ্ধতি যা ত্বকের অনাকাঙ্ক্ষিত লোম তুলতে সাহায্য করে। ওয়াক্সিং করলে লোমের শিকড় থেকে লোম উঠে আসে, ফলে নতুন লোম গজাতে অনেক সময় লাগে এবং লোমের ঘনত্বও কমে আসে।
পরামর্শ: নিয়মিত ৩-৪ সপ্তাহ পর পর ওয়াক্সিং করালে লোম গজানোর গতি কমে এবং লোমের ঘনত্ব হ্রাস পায়। বাজারে পাওয়া যায় এমন হার্বাল বা প্রাকৃতিক ওয়াক্স পণ্য ব্যবহার করা ভালো।
২. শেভিং
শেভিং দ্রুত এবং সহজ একটি পদ্ধতি, যা ত্বক থেকে লোম সরিয়ে দেয়। এটি একটি সাময়িক সমাধান হলেও ঘরে বসে সহজেই করা যায়। শেভিং করার সময় ভালো মানের শেভিং জেল বা ফোম ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
পরামর্শ: নিয়মিত শেভ করার আগে ত্বক ভালভাবে ভিজিয়ে নিন এবং একটি ধারালো, পরিষ্কার রেজার ব্যবহার করুন। ত্বকে শেভিং পরবর্তী ময়েশ্চারাইজার বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ত্বক কোমল থাকবে।
৩. চিনি এবং লেবুর রস দিয়ে প্রাকৃতিক হেয়ার রিমুভাল
চিনি এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি ঘরোয়া পেস্ট তৈরি করতে পারেন যা লোমের বৃদ্ধিকে ধীর করে এবং
লোমকে শিকড় থেকে তুলে ফেলতে সহায়ক। চিনি একটি প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর এবং লেবুর রস ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
পরামর্শ: চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন, তারপর এটি লোমের দিকে হালকা হাতে ঘষুন এবং শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
৪. লেজার হেয়ার রিমুভাল
লেজার হেয়ার রিমুভাল আধুনিক এবং দীর্ঘমেয়াদী একটি সমাধান, যা লোমের গজানো স্থায়ীভাবে কমিয়ে দেয়। লেজার রশ্মি ত্বকের নিচে থাকা লোমের ফলিকলকে ধ্বংস করে, ফলে নতুন লোম গজাতে দীর্ঘ সময় লাগে।
পরামর্শ: লেজার হেয়ার রিমুভালের জন্য ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং ট্রিটমেন্ট করার সময় উচ্চমানের ক্লিনিক বা ডার্মাটোলজিস্টের কাছ থেকে সেবা নিন।
৫. ডিপিলেটরি ক্রিম বা হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার
ডিপিলেটরি ক্রিম একটি সহজ এবং ব্যথাহীন উপায় যা ত্বকের উপরিভাগ থেকে লোম তুলে ফেলে। এই ক্রিমগুলিতে রাসায়নিক থাকে যা লোমকে ভেঙে দেয় এবং তা সহজে সরানো যায়। এটি শেভিংয়ের মতো সহজ হলেও লোম তুলতে আরও মসৃণ ফলাফল দেয়।
পরামর্শ: বাজারে পাওয়া যায় এমন ডিপিলেটরি ক্রিম ব্যবহার করার আগে একটি ছোট ত্বক পরীক্ষা করুন, কারণ এই ধরনের ক্রিমে থাকা রাসায়নিক ত্বকের সংবেদনশীলতার কারণে অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে। নিয়মিত ব্যবহারে লোমের ঘনত্ব কমবে।
এই পদ্ধতিগুলোর মধ্যে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটি বা একাধিক বেছে নিতে পারেন, যা আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী। নিয়মিত ব্যবহারে অনাকাঙ্ক্ষিত লোমের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে আসবে।