ছেলেদের মেছতার সমস্যায় দৈনন্দিন ব্যাস্ততা আর কাজের চাপে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হয়ে উঠে না । আর দিনে দিনে বেড়ে চলে মেছতা ! স্পেশালি ছেলেদের মেছতার সমস্যা মাথায় রেখে এখানে ৫ টি কার্যকর টিপস উল্লেখ করা হলো ।
১. সানস্ক্রিন ব্যবহার করা
মেলাজমার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি অন্যতম। তাই প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার আগে SPF ৩০ বা তার বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। সানস্ক্রিন শুধু রোদে নয়, বর্ষাকাল বা শীতকালেও প্রয়োজনীয়, কারণ UV রশ্মি সবসময় ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
পরামর্শ: বাইরে যাওয়ার ১৫-২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগান এবং দীর্ঘক্ষণ বাইরে থাকলে প্রতি ২-৩ ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন পুনরায় লাগান।
২. মেলাজমা প্রতিরোধী ক্রিম ব্যবহার করা
বাজারে এমন কিছু বিশেষ ক্রিম পাওয়া যায় যা মেলাজমার চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই ক্রিমগুলোতে সাধারণত কোজিক অ্যাসিড, হাইড্রোকুইনোন, ট্রানেক্সামিক অ্যাসিড, বা ভিটামিন সি থাকে, যা ত্বকের রং হালকা করতে এবং দাগ কমাতে সহায়ক।
পরামর্শ: ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী মেলাজমার জন্য উপযুক্ত ক্রিম বেছে নিন এবং প্রতিদিন নিয়মিত ব্যবহার করুন।
৩. রসুন এবং অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার
রসুনে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের কালো দাগ এবং মেলাজমা কমাতে সাহায্য করে। রসুনের পেস্ট সরাসরি মেলাজমা প্রভাবিত স্থানে লাগাতে পারেন। এছাড়া অ্যালোভেরা জেল ত্বককে শীতল রাখে এবং ত্বকের দাগ হালকা করে।
পরামর্শ: রসুনের রস বা অ্যালোভেরা জেল প্রতিদিন ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা
মেলাজমার চিকিৎসায় সঠিক খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলমূল ও শাকসবজিতে প্রচুর ভিটামিন সি এবং ই রয়েছে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়া প্রচুর পানি পান করা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে, যা ত্বকের সমস্যাগুলো দূর করতে সহায়ক।
পরামর্শ: প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন এবং আপনার খাদ্য তালিকায় টমেটো, গাজর, কমলা, বেদানা, এবং পালং শাকের মতো ফল ও সবজি যোগ করুন।
৫. স্ট্রেস কমানো এবং পর্যাপ্ত ঘুম
স্ট্রেস এবং অনিদ্রা মেলাজমাকে আরও খারাপ করতে পারে। স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করতে পারেন এবং দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। পর্যাপ্ত ঘুম ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে এবং মেলাজমার দাগ কমাতে সাহায্য করে।
পরামর্শ: নিয়মিত রুটিন মেনে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং মানসিক চাপ কমানোর জন্য যোগব্যায়াম বা ধ্যানের অভ্যাস করুন।